পূর্বঘোষিত ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই সেখানে জমায়েত হতে থাকেন তারা।
দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এ সম্মেলন; যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এর আগে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেমরা দেশের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও জনতাকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ব ইজতেমা ২০১৯ সাল থেকে তাবলিগের দুই পক্ষের জন্য দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। এবার তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবি জানান। তারই বিরোধিতা করে এ মহাসম্মেলনের ডাক দেন কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেমরা।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার (৪ নভেম্বর) উভয় পক্ষকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা হলেও উপস্থিত হন শুধু মাওলানা সাদের অনুসারীরা। তাই সভা শেষে দুই পর্বের ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ হলেও কোন পর্বে কে ইজতেমা করবে তা পরে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সভা শেষে মাওলানা সাদের অনুসারীদের প্রতিনিধি মুয়ায বিন নুর বলেন, ‘আমরা শুধু একটা দাবি জানিয়েছি। আমরা আর বৈষম্য চাই না। আমরা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চাই এবং যেকোনো মূল্যে মাওলানা সাদকে দেশে আনতে চাই।’
এর আগে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘দাওয়াত ও তাবলিগের শান্তিপূর্ণ কাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য মাওলানা সাদের অনুসারীরা তাকে ইজতেমায় আনা এবং প্রথম পর্বে ইজতেমা করার পাঁয়তারা করছেন। এসব বিষয় সামনে রেখে দেশের নতুন পরিস্থিতিতে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত, কওমি মাদ্রাসাগুলোর হেফাজত ও দীনি জিম্মাদারি আরও সুচারুরূপে রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসম্মেলনে আসার আহ্বান জানাই।’