বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট মন্ত্রী এমপিরা।শেখ হাসিনার পরেই এ তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত নাম ওবায়দুল কাদের।
হাসিনার পতনের পরপরই কাদের ভারতে অবস্থান করছেন,কখনো হংকং কিংবা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন ,এমন খবর গণমাধ্যমে প্রায় উঠে আসলে কাদেরের অবস্থান এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
শনিবার (১০ নভেম্বর) রাতে হালিশহর থানা এলাকার আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের এ আর টাওয়ারে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্ত্রীসহ অবস্থান করছে এমন সন্দেহে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের ওই ফ্ল্যাট বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পরে কাদেরকে না পেয়ে তার স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদা বাবুকে (৭০) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ নুরুল হুদাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদার ফ্লাটে অভিযান চালানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই নুরুল হুদাকে থানায় আনা হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে কোনো মামলা না থাকায় পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নুরুল হুদা দাবি করেছেন ৫ তারিখের পর থেকে ওবায়দুল কাদেরকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। কাদেরের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
উল্লেখ্য ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে লাপাত্তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত কাদেরকে গ্রেপ্তার করা যায়নি ।